KGF Chapter-2 Full Movie in Bangla. কেজিএফ স্টোরি বাংলা

KGG Chapter-2 Story in Bangla

Details:

Movie: KGF Chapter 2

Story: Prashanth Neel

Cast: Yash, Sanjai Dutt, Ravina Tendo

Directed by: Prashant Neel

Producer: Vijay Kiragandur

Cinematography by: Bhuvan Gowda

Edited By: Ujwal Kulkarni

Budget: 100 crore INR.

1filmy4wap Review KGF Chapter-2 Main story:

কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2) মুভির শুরুর ঘটনা রকি যখন কেজিএফ এ ঢুকে গেরুরা (কেজিএফ ভিলেন) কে মেরে ফেলেছিলো তখন সে সেই ২০ হাজার লোকের কাছে রাজা হয়ে উঠেছিলো। গেরুরার লোকেরা রকি কে মারতে চেয়েছিলো কিন্তু ঐ ২০ হাজার লোকেরা তাদের রাজাকে বাঁচিয়েছিলো। গেরুরা কে মারার পরে কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2) এ রাজ করার কথা ছিলো রকির কিন্তু তার পরে কি হয়েছিলো তা শুধু জানতো আনান্দ।

আনান্দ কেজিএফ চ্যাপ্টার-1 (KGF Chapter-1) এ হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। তবে তিনি যখন নিউজ চ্যানেলের কর্মকর্তা দিপাকে কেজিএফ চ্যাপ্টার-1 (KGF Chapter-1) এর ব্যাপারে জানাচ্ছিলো তখন সেই কথা দিপা বিশ্বাস করছিলো না। সেই জন্য আনান্দ বলে যে তোমার বিশ্বাস না হলে গিয়ে দেখ কেজিএফ এ তারা তাদের রাজার মুর্তি  পুতে রেখেছে। তুমি চাইলে দেখে আসতে পারো।

তাই দিপা তার লোকেদের কেজিএফ এ পাঠিয়েছিলো সেই মুর্তি দেখে আসার জন্য। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে দেখে কোন সাম্রাজ্য নেই। সবই ভোকাস। কিচ্ছু নেই। কিন্তু তারা খোদাই করতে করতে একটা বড় বক্স পাই।  সেটা খুলতেই কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এর সেই মুর্তিটি বেরিয়ে আসে। কেজিএফ চ্যাপ্টার 01 এখানেই শেষ হয়। কারন গল্পকার আনান্দ হার্ট এ্যাটাক করে মারা যায়।

কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এর গল্প বলার জন্য আনান্দ এর ছেলে বিজয় আসে। 

গেরুরা কে মারার পেছনে হাত ছিলো তার ছোট ভাই ভিরাটের। আর কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  তে হিংহাসনে বসার কথা ছিলো ভিরাটের। তাই পরদিন অনেক বড় বড় লোক ভিরাটের রাজ্য অভিষেক এ আসে। সবাই ভিরাটের জন্য অপেক্ষা করছিলো।

কিন্তু ভিরাটের বদলে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রাজ্য অভিষেকে আসে রকি। আসলে রকি কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এ রাজ করতে এসেছিলো। তাই গেরুরাকে মারার আগেই রকি ভিরাট কে মেরে দেয়। 

রকি কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এর সিংহাসন দখল করে নেই। এখানে ঋণা রকিকে জিজ্ঞাস করে আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসা হয়েছে?

রকি বলে যে বিনোদনের জন্য কাউকে আসারই ছিলো। তখন সেখানে থাকা কামাল বেশি উল্টা পাল্টা করলে রকি তাকে মেরে ফেলে।

এই দেখে ওখানে থাকা ভিলেন রকি কে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

রকি সিংহাসন পাওয়ার পরে কেজিএফ চ্যাপ্টার-2  এর বাকী লোকেরা মুক্ত ছিলো। তারা সবাই রকির হয়ে কাজ করতো। এইবার রকি তার কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2) এর রাজত্বর জন্য সেনাবাহীনি তৈরি করতে চেয়েছিলো। 

কিন্তু তার লোকেরা যুদ্ধ সম্পর্কে  কিছুই জানতো না। তাই রকি একজন সেনাপতিকে নিয়ে আসে যার নাম বলরাম। 

রকি জানতে পারে যে সুরিয়াবর্ধণ নয়টি সোনার খনি লুকিয়ে রেখেছিলো। তাই রকি সেগুলো খোজার চেষ্টা করে। 

একদিন রকি তার একটি সোনার কারখানাতে পরিদর্শন করতে গিয়ে একটা তলোয়ার খুজে পায়। ওখানকার কর্মচারীরা রকিকে বলতে থাকে ওই তলোয়ারটি নরকের দৈত্ত আধিরার। আধিরা সুরিয়াবর্ধনের কথা রাখতে বহু মানুষকে খুন করেছে।

ওখানে হামলা হওয়ার পরে আধিরার দেখা মেলে। রকি ব্রিজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় আর আধিরা বলে আমি আসছি প্রতিশোধ নিতে।

আধিরা কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এর রাজত্ব নিতে চাই। এদিকে রকি কে মারার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়। ফলে ঋণার বাবাকে মেরে ফেলা হয় যাতে রকি ও ঋণা কেজিএফ চ্যাপ্টার এর বাইরে আসলে তাদেরকে মারতে  পারে।

ঋণা তার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে কেজিএফ (KGF) থেকে বাইরে চলে যায়। কিন্তু যাত্রা পথে তাকে আধিরার লোকেরা ধরে ফেলে। এই খবর রকি জানার পরে আধিরার লোকেদের কাছে পৌছে যায়। রকি আধিরার লোকেদের মারতে থাকে এবং ঋণাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় আধিরা উপর থেকে রকিকে গুলি করে দেয়।

এর পরে আধিরা তার আধিপত্য বিস্তার করার জন্য রকিকে আহত অবস্থায় কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এ নিয়ে যায়। এবং সেখানকার সবাই আধিরার নাম শুনে ভয় পায়। 

এদিকে আধিরার লোকেরা রকির সব চামচাকে মেরে ফেলে। এর পর শুরু হয় আধিরার রাজত্ব এবং রকি অস্বুস্থ থেকে স্বুস্থ হওয়ার পরে কেজিএফ ছেড়ে চলে যায়।

রকি ডুবাই গিয়ে সেখানে এনায়েত খলিলের কাছে একটা অফার পেশ করতে চাইলে সে সরাসরি না করে দেয়। কারন রকির হাতে তখন কেজিএফ সম্রাজ্য ছিল না। এবং আধিরা তার লোকজনকেও মেরে ফেলেছিলো। কিন্তু রকি যখন পাল্টা আক্রমণ করে তখন এনায়েত খলিল অফার গ্রহন করে নেয়।

এর পর আস্তে আস্তে রকি কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  দখল করে নেয়। কিন্তু আধিরাকে সে যেতে দেয়। কিন্তু একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যায়। রকির বন্ধু গুরু পান্ডিয়া ভোটে হেরে যায়। নতুন প্রধানমন্ত্রি হয় রামিকা সেন। 

রামিকা সেন রকির সাথে শত্রুতা শুরু করে। রমিকা তাকে এরেষ্ট করতে গেলে সে একটি ফাইল নিয়ে স্বেচ্ছায় তার অফিসে এসে ধরা দিতে চাইলে সে জানতে পারে যে তার পার্টির লোকেরাও তার সাথে জড়িত। আর তাই রামিকা সেন  রকি কে ছেড়ে দেই। 

রকির সাথে তার পার্টনারদের মনমালিন্য হয় তাই তারা আধিরার সাথে যোগ দেই। 

রকি তার মায়ের কবর কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2) এ খুজে বের করে েএবং সমাধী বানায়। এবং এই সামাধী দেখা শোনার দায়িত্ব দেই তার মাতাল বাবাকে। 

এর পরে রকি আর ঋণার বিয়ে হয়ে যায়। কিছু দিন পরে ঋণা প্রেগনেন্ট হয়। এই দিকে আধিরা কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এ হামলা চালায়। হামলার প্রথম পর্যায়ে আধিরা রকিকে গুলি করলে সেটি ঋণার গায়ে লাগে এবং মারা যায়। এর পরে রকি এবং আধিরার মারামারি হয়। মারতে মারতে রকি আধিরাকে মেরেই ফেলে।

এর পরে রকি জানতে পারে কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  হামলায় আধিরাকে সাহায্য করে ছিল গুরু পান্ডিয়া। এর পরে রকি তার বাহিনী সহ পার্লামেন্টে ঢুকে পড়ে এবং গুরুপান্ডিয়াকে মেরে ফেলে। পার্লামেন্টের মধ্যে মন্ত্রীকে মেরে ফেলার অপরাধে এইবার রকি কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এর পরে রকিকে ধরার জন্য পুলিশ বাহিনী কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  শহরে গেলে তারা জানতে পারে যে রকি পালিয়েছে। তাকে সমূদ্র পথে ধাওয়া করলে তার জাহাজটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং সে সমূদ্রের নিচে তলিয়ে যায়।

শেষ কথা

সবাই মনে করছেন গল্পটা এখানেই শেষ। আসলে গল্পটা কেবল শুরু। কারন এখানে একটা অসমাপ্ত গল্প দেখানো হয়েছে শেষের দিকে। কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  এর রাজা রকির পেছনে অ্যামিরিকান র‌্যাব কেন লেগেছিলো তা এখানে স্পষ্ট করা হয় নি। আর তাছাড়ও কেজিএফ চ্যাপ্টার-2 (KGF Chapter-2)  মুভির শেষে একটি ক্লিপে আমরা দেখতে পাই যে রামিকা সেন যেই ফাইলটি দেখার জন্য অন্য একটি ফাইল সরাচ্ছিলো তার নিচে লিখা কেজিএফ চ্যাপ্টার (KGF Chapter) অর্থা কেজিএফ চ্যাপ্টার-3 (KGF Chapter-3) আসছে।